আকাশে বিমানের শব্দ শুনলে কি এখনো তাকান আকাশের দিকে ? খোঁজার চেষ্টা করেন ?
বলছিনা আপনি এখনো বিমান দেখননি বা ওঠেননি, আসলে একটি যন্ত্র আকাশ দিয়ে উড়ে উড়ে চলে এ ব্যাপারে আমাদের কৌতুহলের এখনো কমতি হয়নি । আমি এখনো শব্দ পেলেই খুঁজতে শুরু করি, একটা সময় ছিলো যখন দৌঁড়ে বের হতাম, পাড়ার ছেলে মেয়ে সবাই বের হতো, বয়স্করাও বের হতো । কারো আগ্রহ পুরনে আর কারো আগ্রহ বাড়াতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনির এই জাদুঘর এর সৃষ্টি, দেশের হতিহাস, ঐতিহ্য আর আহংকারের সাথে সম্পর্কিত সকল সৃতি বিজড়িত বিমান, হেলিকপ্টার দিয়ে সাজানো হয়েছে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এই জাদুঘর ।
আমাদের মধ্যে যাদের কৌতুহল এখনো জমে আছে তাদের কৌতুহল কে কিছুটা হলেও লাঘব করবে এই জাদুঘরটি ।
তাছাড়া ছোট ছেলে মেয়েদের বিমান নিয়ে আগ্রহ বাড়াতে এবং তাদের এই সেক্টরে নিয়ে আসতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে এই মিউজিয়ামটি । যদি আপনি আপনার সন্তানকে অ্যারোনটিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং কিংবা রকেট সাইন্স নিয়ে পড়াতে চান, তবে এখানে তাকে সবার আগে ভ্রমন করানো জরুরি । কারন মানুষ মন থেকে যা করতে চায় বা যার উপর আগ্রহ বেড়ে যায় সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা এবং সফল হওয়া অত্যন্ত সহজ হয়ে যায় ।
বিমান জাদুঘরের যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৪ থেকে তবে এখনকার সংগ্রহ গুলো অনেক পুরাতন এবং জাতীয় অমুল্য সম্পদ যা এই জাদুঘরটি না থাকলে হয়তো আমরা কোনদিও দেখতে পেতাম না । স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও, মুক্তিযুদ্ধে ব্যাবহৃত বিমান দেখতে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার । অনেক আবেগেরও বটে কারন এই বিমান গুলোর মাধ্যমেই আমাদের স্বাধীনতা এসেছে ।
দেশের প্রথম যাত্রিবাহি বিমান বলাকা, ১৯৫৮ সালে আসা প্রথম বিমান, যা দেখার এবং উঠার স্বাদ মিটাবে এই জাদুঘর ।
এছাড়ও রকেট সহ আরো অনেক বিমান এবং হেলিকাপ্টার দেখতে পাবেন এই জাদুঘরে । জাদুঘরেই শিশুদের জন্য রয়েছে মিনি শিশুপার্ক । মাত্র ৫০টাকা প্রবেশ মুল্যেই ঢাকার কোলাহল এড়িয়ে একটা দিন পরিবারের সবাইকে নিয়ে সময় কাটানোর জন্য একটি সুন্দর চয়েস হবে এটি । তাছাড়া পাশেই রান ওয়ে হওয়ায় বিমানের উঠানামা দেখতে পাওয়া যাবে এখানে ।
আমার তোলা বিমান জাদুঘরে তোলা কিছু ছবি -









